রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এইচবিবি রাস্তা নির্মাণ কাজের টেন্ডারে জালিয়াতির অভিযোগ

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসই হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের টেন্ডারে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম-ঠিকানা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সংক্ষুব্ধ একজন ঠিকাদার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অনুলিপি দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিব, রাজশাহী জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও রাজশাহী প্রেসক্লাবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এক কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচারাস্তা এইচবিবিকরণ কাজের টেন্ডারে চার শতাধিক ঠিকাদারের মধ্যে একাধিক মামলার পলাতক আসামি মোঃ মিজানুর রহমান (হিপু) জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম ও ঠিকানা জালিয়াতির মাধ্যমে অংশ নেন। টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির যাচাই-বাছাইয়ে উক্ত টেন্ডার ডকুমেন্ট বাতিলের কথা, কিন্তু তা করেননি। বরং উক্ত পলাতক আসামির অনুকূলে কার্যাদেশ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত ঠিকাদারের প্রকৃত নাম মোঃ মিজানুর রহমান (হিপু)। তবে টেন্ডার নথিতে জালিয়াতি করে তিনি নিজের নাম ‘মোঃ মিজানুর রহমান’ ব্যবহার করেছেন। জাতীয়পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা-বড়বড়িয়া, পরানপুরহাট, চারঘাট, রাজশাহী। অথচ তিনি জালিয়াতির করে কর ও ভ্যাটের নথিতে উত্তরমিলিক বাঘা, রাজশাহী, ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। কর ও ভ্যাটের ক্ষেত্রে আইনত: ব্যক্তির পরিচয়; জাতীয়পরিচয়পত্র অনুযায়ী নির্ধারিত। যেহেতু উক্ত টেন্ডার নথিতে মোঃ মিজানুর রহমান (হিপু) এর কর ও ভ্যাটের নথি জাতীয়পরিচয়পত্র বহিভুর্ত। সেহেতু তা ভুয়া ও জালিয়াতি নির্দেশ করে, আইনত অগ্রহণযোগ্যও বটে।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম মোমিনুল হক বলেন, আমি কিছু বলতে পারবো না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকৌশলী বলতে পারবেন। যোগাযোগ করা হলে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মনছুর রহমান বলেন, আমি কিছু জানি না। ইউএনও এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলতে পারবেন। ইউএনও মোঃ আবুল হায়াত বলেন, ‘অভিযুক্ত ঠিকাদারের কাছে তার জাতীয় পরিচয়পত্র অন্যান্য নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে মতামত প্রদানের জন্য রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন। তবে জেলা প্রশাসক ঢাকায় সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় এখনো তদন্ত শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button