রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনায় ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪’ পালন করা হয়েছে । এ উপলক্ষ্যে ১৭-৩১ মার্চ (২৫ মার্চ বাদে) পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ড ভবন আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্বাধীনতার বীর শহিদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চত্বরে মুজিব শতবর্ষ স্মারক ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ও ১৫ আগস্টের সকল শহিদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলমের সভাপতিত্বে এবং প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) এস.এম. গোলাম আজমের সঞ্চালনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও অনুষ্ঠানের আহবায়ক মো. এনামুল হক। আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ূন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আরিফুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক, সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মোহা. হুমায়ুন কবীর লালু।

সভায় প্রধান অতিথি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের নানান দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি পাকিস্তান আন্দোলন, ঢাকায় প্রত্যাবর্তণ, ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, স্বাধীকার, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিক নেতৃত্বদানের ইতিহাস তুলে ধরেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারাদেশে কিভাবে ছাত্রযুবক আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেটি চমৎকারভাবে তুলে ধরেন।

সভার সভাপতি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ১৫ আগস্টের সকল শহিদ, জাতীয় চার জাতীয় নেতা এবং স্বাধীনতাকামী জনমানুষের অসীম ত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বাঙ্গালির প্রতিটি অর্জনের পিছনে অসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলেন কোটি মানুষের আত্মত্যাগ আমাদের দায়বদ্ধতা প্রদান করে। সেই দায় বা ঋণ পরিশোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যোগ্যতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করা। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুধাবন করতে হবে, আজ তারা যে পথ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তা তৈরী করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভবিষ্যতে তার পথই হবে উন্নতি ও অগ্রগতির সোপান। বাদ আছর মহান স্বাধীনতায় শাহাদৎ বরণকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শিক্ষা বোর্ড মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button