বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আন্ডারগ্রাজুয়েট কনফারেন্স অন ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং অ্যান্ড সিস্টেমস’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী কনফারেন্স শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইংঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ‘আন্ডারগ্রাজুয়েট কনফারেন্স অন ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং অ্যান্ড সিস্টেমস’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী কনফারেন্স শুরু হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজস্ব অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে এই কনফারেন্স উদ্বোধন করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। প্রথম পর্বে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইংঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম ইসলাম মোল্যার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক, জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটির এমেরিটাস প্রফেসর ড. কেইকিচি হিরোসে ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা। এসময় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান, নির্বাহী পরিচালক শামীম আহসান পারভেজ, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডলসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্স সভাপতি ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন অপরিহার্য। আমাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে এবং প্রযুক্তির নতুন সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে এ ধরনের কনফারেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতেও এধরনের কনফারেন্স আয়োজন করবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা ও জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।’
উদ্বোধনী বক্তা ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং ও সিস্টেম সংক্রান্ত গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন সম্ভব। এ ধরনের কনফারেন্স শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী হতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
প্রধান অতিথি হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘তরুণ শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করতে এধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তরুণদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তারা আগামী দিনের উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে উঠবে।’
বিশেষ অতিথি ড. কেইকিচি হিরোসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বলেন, ‘স্মার্ট প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চলেছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’
প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে এবং প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখতে পারে।’
প্রথম দিনের টেকনিক্যাল সেশনে মুখ্য আলোচক ছিলেন মালয়েশিয়ার কেবাংসান ইউনিভারর্সিটির ইইএসই বিভাগের প্রফেসর শাওয়াল হামিদ বিন মোহাম্মদ আলী এবং আইসিটিপি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মামুন বিন ইবনে বিয়াজ। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহ দিয়ে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. এম কায়কোবাদ এবং সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন প্রফেসর ড. ফারজানা আলম। দ্বিতীয় দিনের সেশনে মুখ্য আলোচক থাকবেন এমেরিটাস প্রফেসর ড. কেইকিচি হিরোসে ও ব্র্যাক ইউনিভারর্সিটির প্রফেসর ড. এম. কায়কোবাদ।
দু’দিনের কনফারেন্সে দেশবরেণ্য ও আন্তর্জাতিক গবেষকগণ ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং ও সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করছেন।