রাবির সাবেক শিক্ষক পিএম সফিকে আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টা
উদ্ধারে গিয়ে তোপের মুখে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক পিএম সফিকুল ইসলামকে দিনভর আটকে রেখে ৭ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরীর সাধুর মোড় এলাকার ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধারে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, অধ্যাপক পিএম সফিকুল ইসলাম রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। অবসরের পরে ুতুন রাজশাহীর বেসরকারী নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি নেত্রকোনার ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে’র কোষাধ্যক্ষ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। তার গ্রামের বাড়ি বাগমারায় হলেও তিনি রাজশাহী শহরের সাধুরমোড় এলাকার বাশার রোড এলাকায় ভাড়া থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পিএম সফিকুল ইসলামকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বিকালে খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে যায়। এ সময় পুলিশের ওপর চড়াও হন কেউ কেউ। পুলিশকে আক্রমণও করা হয়। ওই সময়ের ভিডিওতে দেখা গেছে, ‘আওয়ামী লীগের পুলিশ’ বলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়।
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পিএম সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আমি শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ছিলাম। আমি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নই। আমার নামে কোন মামলাও নেই।’ তিনি জানান, স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও পাড়ার ছেলেরা তাকে আটকে রেখেছিলেন। তার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসারইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘পিএম সফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের থানায় তার নামে কোন মামলা নেই। এখন বাগমারা থানায় তার নামে কোন মামলা আছে কি না সেটি আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’
আটকে রেখে চাঁদা দাবি ও পুলিশের ওপর আক্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এটা হয়েই থাকে। সফিকুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি আমরা জানি না।’