পবায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : অবৈধভাবে মাটি পরিবহণ ও বিক্রির দায়ে ১৩টি ট্রাক্টর ও ৮টি ব্যাটারি জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পবায় অবৈধভাবে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি পরিবহণ ও বিক্রির দায়ে ১৩টি ট্রাক্টর ও ১২টি ব্যাটারী জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পবা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার পারিলা ইউনিয়নের হাট রামচন্দ্রপুর ও সিরোলিয়া গ্রাম এবং বড়গাছি ইউনিয়নের ভালাম ও ভবানীপুর গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এগুলো আটক করেন। এসময় আরএমপি’র পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের ভালাম গ্রামের মেম্বার স্বপন, ছাত্রলীগ নেতা রাজু ও পারিলার হাট রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তুহিন প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে পুকুর সংস্কারের নামে ১০-১২ ফুট গভীর পর্যন্ত মাটি খনন ও অবৈধভাবে পরিবহন করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার আরএমপি’র পবা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অভিযুক্তরা মাটি বহনকারী ট্রাক্টর ও মাটি খননযন্ত্র স্কেভেটর ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় ১৩টি ট্রাক্টর জব্দ ও ৪টি স্কেভেটর অকেজো ও ৮টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার বলেন, পারিলা ও বড়গাছি ইউনিয়নে সরকারি অনুমতি না নিয়ে তাদের ইচ্ছেমত দিনে-রাতে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি পরিবহন ও বিক্রির কাজে লিপ্ত রয়েছে। প্রসাশনের অনুমতি না নিয়ে কেউ পুকুর সংস্কার করতে পারবে না। আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে মাটি পরিবহন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পুকুর খননকারীদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে আরএমপি’র পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করে আসছিলেন। প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় অবৈধভাবে মাটি পরিবহন করে বিক্রির দায়ে তাদের ১৩টি ট্রাক্টর জব্দ ও ৪টি খননযন্ত্র স্কেভেটর অকেজো করে ৮টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।